empty
 
 
22.12.2025 12:38 PM
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার আরও কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে

মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালারের এক মন্তব্যের পর মার্কিন ডলারের দরপতন হয়েছে এবং স্বর্ণের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। ওয়ালার বলেন, সুদের হার আরও কমানো হলে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা "নিরপেক্ষ" বা ভারসাম্যপূর্ণ পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, এখনই এই ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে কোনো তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নেই।

This image is no longer relevant

২০২৬ সাল পর্যন্ত মূল্যস্ফীতির হার ধীরে ধীরে কমে যাওয়ার সম্ভাব্য পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে ওয়ালার বলেন, বর্তমান সুদের হার নিরপেক্ষ পর্যায়ের চেয়ে প্রায় ১০০ বেসিস পয়েন্ট বেশি। ওয়ালার বলেন, "যেহেতু মূল্যস্ফীতি এখনও তুলনামূলকভাবে বেশি, ফলে আমাদের ধৈর্য ধরার সুযোগ আছে—তাই দ্রুতই সুদের হার কমানোর প্রয়োজন নেই, তবে ধাপে ধাপে আমাদের নীতিমালাকে নিরপেক্ষ পর্যাতের দিকে এগিয়ে নেওয়া উচিত।"

ওয়ালারের এই মন্তব্যকে বিনিয়োগকারীরা এই ইঙ্গিত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন যে ভবিষ্যতে ফেডারেল রিজার্ভ তুলনামূলকভাবে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করবে। যদিও তিনি সুদের হার কমানোর ব্যাপারে বর্তমানে তাড়াহুড়ার প্রয়োজন নেই বলেই উল্লেখ করেন, তবুও ফেডের আর্থিক নীতিমালা এখনও তুলনামূলকভাবে কঠোর রয়েছে—এমন স্বীকারোক্তি ভবিষ্যতে নীতিমালা নমনীয়করণের প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

ফেডারেল রিজার্ভ টানা তৃতীয়বার সুদের হার কমানোর পর প্রথম প্রতিনিধি হিসেবে ওয়ালার এমন মন্তব্য করলেন। তবে এই সিদ্ধান্তটি ঐক্যমতের ভিত্তিতে হয়নি, বরং তিনজন সদস্য ভিন্ন মত দিয়েছেন, যা ফেড কমিটির মধ্যে গভীর মতবিরোধ নির্দেশ করে। নীতিনির্ধারকরা এবারের বিবৃতির ভাষাতেও সূক্ষ্ম পরিবর্তন এনেছেন, যা ভবিষ্যতে কবে আবার সুদের হার কমানো হতে পারে—এ নিয়ে অনিশ্চয়তার বার্তা দেয়।

ওয়ালার, যিনি পরবর্তী ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান পদের জন্য অন্যতম প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন, এখন অনেক বেশি নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন—আর ট্রাম্প নতুন ফেড প্রধানের কাছ থেকে এমন অবস্থানই প্রত্যাশা করছেন। ওয়ালার বলেন, "নিশ্চয়ই। আমি আমার জীবনের ২০ বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্থিতিশীলতা ও এর গুরুত্ব নিয়ে কাজ করেছি। তাই আমার কাছে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব রয়েছে।"

EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1730 লেভেলে নিয়ে যাওয়ার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কেবল এই লেভেলে পৌছালেই মূল্যের 1.1750 লেভেলে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে পেয়ারটির মূল্য 1.1770 পর্যন্ত উঠতে পারে, তবে মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া সেটা করা কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1805 লেভেল। তবে যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে আমি কেবল মূল্য 1.1705-এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানে ক্রেতাদের সক্রিয় না হয়, তাহলে পুনরায় এই পেয়ারের মূল্যের 1.1685-এর লেভেলের নিচে নেমে যাওয়ার বা সরাসরি 1.1650 থেকে লং পজিশন ওপেন করার জন্য অপেক্ষা করা উচিত হবে।

অন্যদিকে, GBP/USD-এর টেকনিক্যাল চিত্রের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যের নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3405 লেভেলে ব্রেক করাতে হবে। কেবল এই ব্রেকআউটের মাধ্যমেই মূল্যের 1.3425-এর দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে, যার উপরে ওঠা অনেক কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3450 লেভেল নির্ধারণ করা যেতে পারে। এই পেয়ারের দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.3360 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করবে। তারা যদি সফল হয়, তাহলে মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করলে সেটি মার্কেটে বুলিশ পজিশনের জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য আরও কমে 1.3340-এ পৌঁছাতে পারে, পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3310 লেভেল নির্ধারণ করা যেতে পারে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.