আরও দেখুন
মঙ্গলবার প্রায় পুরো দিনজুড়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় ছিল। উল্লেখ্য যে, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যা বিনিয়োগকারীদের মনোভাব প্রভাবিত করতে। এগুলো হচ্ছে শিল্প উৎপাদন, তৃতীয় প্রান্তিকে জিডিপি, এবং ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন। মার্কিন জিডিপি ৪.৩% প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে, যা পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি; তবে শিল্প উৎপাদন ০.১% কমেছে, এবং সেইসাথে ডিউরেবল গুডস অর্ডার ২.২% কমেছে। ফলে আমরা আবারও 'পরস্পরবিরোধী' পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি—সামগ্রিকভাবে মার্কিন অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ঘটছে, অথচ বেশিরভাগ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকই নিম্নমুখী ফলাফল প্রদর্শন করছে। সম্ভবত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলেই এমন ধরনের অসঙ্গতি সম্ভব। মার্কেটের ট্রেডাররা সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারছে যে বর্তমান জিডিপি প্রবৃদ্ধি কোনো নির্ভরযোগ্য সূচক নয়, এবং এটি ডলার কেনার জন্য উপযুক্ত কারণও নয়। তাই প্রতিবেদন প্রকাশের পর কিছু সময়ের জন্য ডলারের দর সামান্য বেড়ে গেলেও, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য আবার ডলারের বিপরীতে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে একটি নতুন অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে, এবং আমাদের মতে, মধ্যমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে নতুন কোনো ট্রেডিং সিগনালের গঠিত হয়নি। সর্বশেষ ট্রেডিং সিগনালটি সোমবার সন্ধ্যায় গঠিত হয়েছিল, যখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3437–1.3446 এরিয়া ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয়। পরবর্তীতে রাতেরবেলা এই পেয়ারের মূল্য 1.3529–1.3543-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়। এই এরিয়া থেকে মূল্যের বাউন্স হলে সামান্য দরপতন ঘটতে পারত।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেম অনুযায়ী, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জভিত্তিক মুভমেন্ট শেষ হয়েছে এবং পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু করেছে। আমরা বারবার বলেছি যে এই ধরনের পরিস্থিতির ব্যাপক সম্ভাবনা ছিল। মধ্যমেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক পর্যায়ে কোনো কারণ নেই, তাই আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতারই প্রত্যাশা করছি। সার্বিকভাবে, আমরা আশা করছি ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবারও শুরু হবে, যা আগামী দুই মাসের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.4000 লেভেলের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
বুধবারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3529–1.3543 এরিয়া ব্রেক করে উপরে উঠে যায়, তাহলে মূল্যের 1.3574–1.3590 এরিয়ার দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নতুন ট্রেডাররা নতুন লং পজিশন ওপেন করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3529–1.3543 এরিয়া থেকে বাউন্স করে, তাহলে মূল্যের 1.3437–1.3446-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে।
৫-মিনিটের চার্টে গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3096-1.3107, 1.3203-1.3212, 1.3259-1.3267, 1.3319-1.3331, 1.3437-1.3446, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590। বুধবার যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র—কোনো দেশেই গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তবুও, ক্রিসমাস ও নববর্ষের আগে মার্কেটে বেশ সক্রিয়ভাবে ট্রেডিং করা হচ্ছে। বর্তমানে "থিন" মার্কেট বা স্বল্প লিকুইডিটি বিরাজমান, যার ফলে মার্কেট মেকাররা তুলনামূলকভাবে সহজেই এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হচ্ছে।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।